Thursday 1 October 2009

ব্যায়ামের উপকারিতা

গ্রন্থির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি এবং এগুলোকে সচল রাখতে ব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মানুষের স্নায়ুগুলো মেরুদণ্ডে থাকায় মানুষের যৌবন ও জীবনীশক্তি মেরুদণ্ডের সচল ও এর কর্মক্ষমতার ওপর নির্ভরশীল। মেরুদণ্ডে রক্ত চলাচল ঠিকমতো হলে স্নায়ুগুলো সচল থাকে। মেরুদণ্ডে রক্ত চলাচল ব্যাহত হলে স্নায়ুগুলো দুর্বল হয়ে যায়। শরীর জরাগ্রস্ত হয়। মেরুদণ্ডে রক্ত চলাচল ঠিক ও অধিক কর্মক্ষম রাখতে প্রয়োজন ব্যায়ামের। ফলপ্রসূ ব্যায়ামের মাধ্যমে মেরুদণ্ডের স্নায়ুগুলোকে অধিক রক্তস্নাত করে এদের সজীবতা ও নবীনতা বৃদ্ধি করা যায়। ইন্টারনেট
ইংরেজিতে প্রশ্ন করায়...

ইংরেজিতে প্রশ্ন করায় এক সাংবাদিককে তিরস্কার করলেন জার্মানির নতুন সরকারের সম্ভাব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ফিন্স ডেমোক্র্যাটস পার্টির প্রধান গিদো ওয়েস্টারভেল। তিনি ওই সাংবাদিককে সতর্ক করে বলেন, এখন আমরা জার্মানিতে অবস্খান করছি। অ্যাঞ্জেলা মারকেলের সাথে কোয়ালিশন সরকার গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ওয়েস্টারভেল। নির্বাচনে জয়ের পর তিনি প্রথম সংবাদ সম্মেলনে উপস্খিত হলে বিবিসি’র সাংবাদিক জানতে চান, ইংরেজিতে প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তর দেবেন কি না। তিনি উত্তরে বলেন, এ সংবাদ সম্মেলনটি জার্মানিতে হচ্ছে। ওই সাংবাদিক তখন বলেন, ইংরেজিতে প্রশ্ন করলে তিনি জার্মান ভাষায় উত্তর দেবেন কি না। এতেও তিনি সাংবাদিককে তিরস্কার করে বলেন, ব্রিটেনের লোকজন যেমন ইংরেজিতে প্রশ্ন আশা করে জার্মানিতেও লোকজন জার্মান ভাষায় প্রশ্ন আশা করে। এর পর ওই সাংবাদিক একজন দোভাষীর সাহায্যে তাকে প্রশ্ন করেন। রয়টার্স।
আমেরিকানদের বিশ্বাস আততায়ীর হাতে নিহত হবেন প্রেসিডেন্ট ওবামা

ওবামা সরকারের সাম্প্রতিক স্বাস্খ্যনীতির প্রশ্নে সামাজিক নেটওয়ার্কিং সিস্টেম ফেইসবুকের উদ্যোগে চালানো এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, অধিকাংশ আমেরিকানের বিশ্বাস প্রেসিডেন্ট ওবামা আতাতায়ীর হাতে নিহত হবেন। ১৫ দিনব্যাপী চালানো এ জরিপে প্রাপ্ত বয়স্ক ৩৭ লা ২১ হাজার ৮৯৩ জন লোক অংশগ্রহণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা সংস্খা গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্যটি জানিয়েছে।
ফেইসবুকের দেয়া প্রশ্নমালায় প্রশ্ন ছিল ‘ওবামার মৃত্যু কিভাবে হবে?’ উত্তরে ফেইসবুকের ৯৩.৫১ শতাংশ গ্রাহক বলেছেন গুপ্ত হত্যা। ৫.০৩ শতাংশ জানিয়েছেন স্বাভাবিক মৃত্য। আর বাকি ১.৪৬ শতাংশ জানিয়েছেন অন্যান্য কারণে তার মৃত্যু হতে পারে। একই সাথে গ্রাহকদের কাছে সাইটটির আরেকটি প্রশ্ন ছিল ‘কেন আততায়ীরা তাকে মারবেন?’ এ প্রশ্নের বিভিন্ন উত্তর এসেছে। কারণ হিসেবে সবচেয়ে বেশি গ্রাহক বলেছেন, আমেরিকা এখনো কৃষäাঙ্গদের পছন্দ করে না। তাই অধিকাংশের ভাবনাই আসতে পারে না একজন কৃষäাঙ্গ পুরো বিশ্ব চালাচ্ছেন।
একই উত্তর অনেকে আবার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলেছেন ‘যুক্তরাষ্ট্র এখনো কৃষäাঙ্গ শাসনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত নয়।’ আর কৃষäাঙ্গবিরোধী শ্বেত বর্ণবাদীরাই ওবামাকে হত্যা করবে বলে মত দেন ৫৬.০৫ শতাংশ লোক। আর উত্তর দাতাদের বিশ্বাস, ওবামার হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দেবে ‘ক্ল্যান ক্লু ক্লেক্স’ নামক বর্ণবাদী সংগঠনটি। অতীতেও যারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম কৃষäাঙ্গ প্রেসিডেন্ট জর্জ আব্রাহাম, সমাজ বিপ্লবী মার্টিন লুথার কিংসহ অসংখ্য কৃষäাঙ্গ নেতাকে হত্যা করেছে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক তিনজন প্রেসিডেন্টের মৃত্যুসংক্রান্ত জরিপের ১০ বছরের মাথায় তারা কোনো না কোনোভাবে আততায়ীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। কয়েকজনের ওপর একাধিকবার আততায়ীরা হামলা চালিয়েও হত্যা করতে সক্ষম হয়নি। এদের মধ্যে জর্জ বুশ একজন। আততায়ী হামলার ধারাবাহিকতায় বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও এরই মধ্যে একাধিকবার হত্যার হুমকি শুনেছেন। কিন্তু মৃত্যু নিয়ে তিনি চিন্তিত নন বলে জানিয়েছেন সাংবাদিকদের।
ধর্ষিতা ছাত্রীদের পরিবারের কান্নায় স্তব্ধ পিরোজপুর


খলিদ সাইফুল্লাহ পিরোজপুর থেকে ফিরে noyadigonta 30/09/09
‘আমার মেয়ের সর্বনাশ করে যারা বাজারে ভিডিও চিত্র ছেড়েছে আল্লাহই তাদের বিচার করবেন।’ এক অসহায় মায়ের এমন আর্তনাদে পিরোজপুরের আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। সরকারদলীয় এমপি’র বিশ্বস্ত সহচর, দলের দুর্ধর্ষ ক্যাডার এবং ছাত্রলীগ নেতা ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা কয়েকজন কিশোরীকে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ করে ভিডিও ছবি বানিয়ে বাজারে সিডি আকারে বিক্রির ঘটনায় পিরোজপুর শহরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। একটি জাতীয় ইংরেজি দৈনিকে সংবাদটি প্রকাশের পর গোয়েন্দা পুলিশ সিডি বিক্রির দায়ে তিন ভিসিডি ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করলেও ঘটনার হোতা ও তার সহযোগীরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। অবশ্য পিরোজপুরের এসপি গতকাল সìধ্যায় জানিয়েছেন, ঘটনার মূল হোতাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। তাকে অবশ্যই আটক করা হবে। লোকলজ্জার ভয়ে ধর্ষিত মেয়েদের অভিভাবকরা থানায় কোনো মামলা না করলেও বিষয়টি পিরোজপুর শহরের অভিভাবক মহলে ভীতির সৃষ্টি করেছে।
অতিসম্প্রতি পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আহসান কবির ওরফে টাইগার মামুন শহরের একটি বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীসহ কয়েকজনকে ফুসলিয়ে বিভিন্ন স্খানে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের দৃশ্য তার সহযোগী গাঁজা মুনির ভিডিওতে ধারণ করে। টাইগার মামুনের দলীয় প্রতিপক্ষ মুনিরের কাছ থেকে ওই ভিডিওচিত্রটি কব্জা করে তা সিডি আকারে বিভিন্ন ভিসিডি ও সিডি দোকানে সরবরাহ করে। গত কয়েক দিন ধরেই এ সিডি পিরোজপুর শহরে গোপনে দেদার বিক্রি হচ্ছিল। পুলিশ এর কোনো খোঁজই রাখেনি। স্খানীয় সাংবাদিকরা বিষয়টি জানলেও রাজনৈতিক ও ক্ষমতাসীন দলের কারণে চুপচাপই ছিলেন।
কিন্তু গত সোমবার একটি জাতীয় ইংরেজি দৈনিকে বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর পিরোজপুরের গোয়েন্দা পুলিশ শহরের কয়েকটি ভিসিডি ও সিডি দোকানে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে। এদের মধ্যে গোপাল কৃষä মার্কেটের সৌখিন ভিডিও সেন্টারের মালিক সুমন তালুকদার, জেলা পরিষদ মাকের্টের মোল্লা টেলিকম ভিডিও সেন্টারের মালিক ফয়সাল গাজী ও কর্মচারী শাহিন হাওলাদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দু’টি দোকান থেকেই কিশোরীদের ধর্ষণের ভিডিওচিত্র সংবলিত বেশ কিছু সিডি উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ। এ ঘটনায় ডিবি’র এসআই সুলতান আহমেদ ফকির বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে টাইগার মামুন ও গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আজীম গ্রেফতাকৃতদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়েছেন বলে জানালেও গতকাল বিকেল ৪টায় পিরোজপুর কোর্টে এসংক্রান্ত কোনো আবেদন পৌঁছেনি। গতকাল আদালতে গ্রেফতারকৃতদের জামিন প্রার্থনা করা হলেও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তা নামঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ দিকে এ ঘটনায় পিরোজপুর শহরের সর্বমহলে চরম ভীতি সৃষ্টি হয়েছে। স্খানীয় এমপি’র খুব কাছের লোক টাইগার মামুনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতেও পারছে না কেউ। এমনকি বেশির ভাগ ধর্ষিতার বাবা-মাও ঘটনার পর মেয়েদের অন্যত্র সরিয়ে রেখেছেন। তারা সাংবাদিকদের সামনেও মুখ খুলতে নারাজ। এক কিশোরীর মা বলেন, এভাবে আমার মেয়ের জীবন যারা ধ্বংস করল এ দুনিয়ায় তাদের বিচার না পেলেও আল্লাহর কাছে তাদের বিচার দিলাম।’
পিরোজপুরের এসপি গতকাল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে টাইগার মামুন ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারে জোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন। ঘটনার সব আলামত উদ্ধারে অধিকতর জোর দেয়ার কথাও জানান তিনি।
এ দিকে আমাদের পিরোজপুর সংবাদদাতা জানান, সম্প্রতি নাজিরপুর কলেজ শাখার সভাপতি তরিকুল ইসলাম সেন্টুর নেতৃত্বে একই কলেজের এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে উপজেলা বনবিভাগের নার্সারির মধ্যে ফেলে রাখা হয়। তার বিরুদ্ধে মামলা হলেও অজ্ঞাত কারণে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না।
বঙ্গবìধু মেডিক্যাল ভার্সিটির ১১ অধ্যাপক চাকরিচ্যুত

নিজস্ব প্রতিবেদক noya digonto 30/09/09

অনুষদের নির্বাচিত ডিনসহ বঙ্গবìধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন সিনিয়র প্রফেসর ও একজন অ্যাসোসিয়েট প্রফেসরকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরের মধ্যে তাদের আর চাকরি থাকবে না বলে কর্তৃপক্ষ গতকাল এক নোটিশে জানিয়ে দিয়েছে। চাকরিচ্যুতদের সবাই দেশের একমাত্র মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপক ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। তারা বিগত বিএনপি সরকারের আমলে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ পেলেও আকস্মিকভাবে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই তাদের চাকরিচ্যুতির নোটিশ ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। আগে এসব প্রফেসর সরকারি চাকরি করতেন। সেখান থেকে চাকরি ছেড়ে তারা পিজি হাসপাতালে নিয়োগ লাভ করেছিলেন। হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্কট পূরণে বিগত সরকারের আমলে তাদের নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু বিএনপিপন্থী হওয়ার অভিযোগে ১৯৭৪ সালের গণকর্মচারী অবসর আইনের কথা উল্লেখ করে এই চাকরিচ্যুতির নোটিশ দেয়া হয়েছে। যাদের চাকরিচ্যুতির নোটিশ দেয়া হয়েছে তারা হলেন, ডেন্টাল অনুষদের ডিন ও ওরাল ও ম্যাক্সিলোফিশিয়াল সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মতিউর রহমান মোল্লা, এন্ডোক্রাইনোলজির অধ্যাপক নাসিম আক্তার চৌধুরী, নেফ্রোলজির অধ্যাপক জাহাঙ্গীর কবির, গাইনি বিভাগের অধ্যাপক সায়েবা আক্তার, ফিজিওলজির চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক নুরজাহান বেগম, ফার্মাকোলজির অধ্যাপক নার্গিস আক্তার, কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের অধ্যাপক এস এ খান, মাইক্রোবায়োলজির অধ্যাপক মো: আবুল কাশেম খান, কার্ডিওলজির অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, রেডিওলজির অধ্যাপক ও বিভাগীয় চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, প্লাস্টিক সার্জারির সহযোগী অধ্যাপক শরীফ হাসান। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বঙ্গবìধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৯৮ সালের ১ নম্বর আইন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচলিত ও প্রণীতব্য সব সংবিধি, অধ্যাদেশ, প্রবিধান ও নিয়ম অনুযায়ীই তাদের চাকরি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এত দিন পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১৯৭৪ সালের গণকর্মচারী (অবসর) আইন এর ৯ ধারার উল্লেখ করে বলা হয়েছে, উল্লিখিত চিকিৎসকদের নিয়োগদান আইনানুগ হয়নি বিধায় তা বাতিলযোগ্য। সে অনুযায়ী আজ ৩০ সেপ্টেম্বর অপরাহ্ন থেকে তাদের নিয়োগ বাতিল বলে গণ্য হবে। নোটিশে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি থেকে অবসরপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তার আবার কোনো সংবিধিবদ্ধ সংস্খায় নিয়মিত পদে চাকরি গ্রহণ নিষিদ্ধ। তবে নোটিশে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ গ্রহণে উল্লিখিত চিকিৎসকরা সম্মত আছেন কি না তা আগামী সাত দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, উল্লিখিত প্রফেসররা যার যার বিভাগে স্বনামধন্য। তাদের প্রায় সবাই বিগত জোট সরকারের সময় নিয়োগ পেয়েছেন বলে তাদের সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে যেনতেন প্রকারে চাকরিচ্যুতির চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন দায়িত্ব নেয়ার পর ডেন্টাল ফ্যাকাল্টির ডিন ও চেয়ারম্যানকে একবার চাকরিচ্যুতির চেষ্টা করা হয়েছিল । কিন্তু নানা কারণে পরে তা বাতিল করা হয়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, উল্লিখিত চিকিৎসকদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে ইন্টারভিউর মাধ্যমে নেয়া হয়। সরকারি চাকরি থেকে অবসরপত্র জমা দেয়ার শর্তে বিএসএমএমইউ তাদের নিয়োগ দেয়। এতে কোনো ভুল হলে তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই দায়ী হতে পারে। অভিযুক্তরা কিছুতেই নন। যারা চাকরি নিয়েছেন তারা কর্তৃপক্ষের সব শর্ত মেনেই চাকরিতে যোগদান করেছেন। ভুল হয়ে থাকলে তা শোধরানোর দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। এ জন্য চিকিৎসকদের চাকরিচ্যুতি করাটা কতটুকু আইনসম্মত হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। সরকারি চাকরিতে অন্য ক্যাডার কর্মকর্তাদের নিয়োগে বয়সসহ নানা শর্ত থাকলেও চিকিৎসা পেশায় নিযুক্তরা উচ্চতর শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতার কারণে এ ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন। কেননা চিকিৎসা পেশায় উচ্চতর শিক্ষায় অনেক সময় লাগে এবং তা কষ্ট ও পরিশ্রমসাধ্য। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের এই চাকরিচ্যুতি উচ্চতর স্বাস্খ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণের এক পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে।
এ দিকে বিএসএমএমইউ’র ১১ জন স্বনামধন্য চিকিৎসকের চাকরিচ্যুতির নোটিশে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে বিএমএ নেতৃবৃন্দ বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষের এ ধরনের অপচেষ্টাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার হীন মানসিকতা বলে আখ্যায়িত করেছেন।
এ দিকে চাকরিচ্যুতির নোটিশ পাওয়া এন্ডোক্রাইনোলজির অধ্যাপক ডা. নাসিম আক্তার চৌধুরী গত রাতে নয়া দিগন্তকে বলেন, কী বলব কিছুই বুঝতে পারছি না। এত দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি করছি কেউ বলেনি আমার নিয়োগপত্রটি অবৈধ। আজ হঠাৎ করে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো শুনতে পেলাম আমাকে অপসারণ করা হবে। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে ইন্টারভিউ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শর্ত পূরণ করে চাকরি নিয়েছি। দু:খজনক ছাড়া এ মুহূর্তে আমি আর কিছু বলতে পারছি না।
ডেন্টাল অনুষদের ডিন ও ওরাল এবং ম্যাক্সিলোফিশিয়াল সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মতিউর রহমান মোল্লা জানান, বিএসএমএমইউতে একাডেমিকেলি শূন্যতা সৃষ্টির জন্য এক দিনের নোটিশে চাকরিচ্যুত করতে চাচ্ছে আমিসহ আরো অনেককে। তিনি বলেন, বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই সরকারি চাকরি ছেড়ে এখানে যোগদান করেছিলাম। দলীয়করণের চরম নমুনা দেখিয়ে কর্তৃপক্ষ নিজেদের নিয়োগবিধি ভুলে যে সরকারি আইনের কথা বলছে তা দেশের সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত করবে।
বিরোধীদল সমর্থক কৃষকরা সার কেনা নিয়ে আতঙ্কে
রাজশাহীতে সার ডিলার নিয়োগে দলীয়করণ ও অনিয়মের অভিযোগ
অর্থনৈতিক প্রতিবেদক noya digonto 30/09/09

সময়মতো প্রয়োজনীয় সার কিনতে পারবেন কি না এ নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে পড়েছেন সার দেশের বিরোধীদল সমর্থক লাখ লাখ কৃষক। কারণ রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত সরকারদলীয় খুচরা সার বিক্রেতারা আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন। এমন পরিস্খিতির সৃষ্টি হলে সংশ্লিষ্ট কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নও বাধাগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ফোকাস বাংলা নিউজ জানায়, দেশজুড়ে খুচরা সার বিক্রয়প্রতিনিধি নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম ও দলীয়করণের জন্য কৃষকদের মাঝে হতাশা ও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তারা বলছেন, সরকারের নতুন নীতিমালায় সার বিতরণ সুষ্ঠুভাবে হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। যথাসময়ে কৃষকরা সার পাবেন না বলে তার আশঙ্কা করছেন। দীর্ঘদিন খুচরা বিক্রেতা হিসেবে পরিচিত প্রকৃত ব্যবসায়ীদের বঞ্চিত করে সরকারি দলের নেতাদের ইউনিয়নভিত্তিক খুচরা বিক্রয়প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কৃষি বিভাগের নিয়মনীতি অনুসরণ করে আবেদনের পরও বঞ্চিত হওয়ায় পুরনো ও অভিজ্ঞ ব্যবসায়ীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এতে যথাসময়ে ন্যায্যমূল্যে সার পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ফলে কৃষকদের মাঝে চরম হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নতুন নীতিমালায় আগের নিয়োগ পাওয়া পাঁচ হাজার ১১১ জন ডিলারের নিয়োগ বহাল থাকলেও তাদের কোনো বিক্রয়প্রতিনিধি থাকবে না। তাদের অধীনে আগে থাকা ১৫ হাজার ৩২৭ জন বিক্রয়প্রতিনিধির নিয়োগ বাতিল বলে গণ্য হবে। বিক্রয়প্রতিনিধির পরিবর্তে স্খানীয়ভাবে বিশেষ আইডি কার্ডধারী খুচরা বিক্রেতা নিয়োগের বিধান রাখা হয়েছে নতুন নীতিমালায়। এ ছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ে একাধিক নতুন ডিলার নিয়োগ দেয়ার ব্যবস্খা রাখা হয়েছে। ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ডিলার নিয়োগের ক্ষেত্রে স্খানীয় বাসিন্দাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
জানা গেছে, সার বিতরণ ব্যবস্খায় বিদ্যমান জটিলতা নিরসন করে কৃষকের কাছে যথাসময়ে সার তুলে দেয়া নিশ্চিত করতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে সার ডিলার নিয়োগ ও বিতরণ সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা-২০০৯ কার্যকর হচ্ছে। নতুন নীতিমালায় আগে নিয়োগ পাওয়া ডিলারদের নিয়োগ বহাল রাখা হলেও তাদের কোনো বিক্রয়প্রতিনিধি থাকছে না। খুচরা সার বিক্রির ক্ষেত্রে আইডি কার্ড পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে। উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটি খুচরা সার বিক্রির জন্য মনোনীতদের এই আইডি কার্ড প্রদান করবে।
নীতিমালায় পরোক্ষভাবে খুচরা বিক্রেতা নিয়োগে সংসদ সদস্যদের হাতে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। জেলার সব সংসদ সদস্য সার বিক্রেতা বাছাই কমিটি ও উপজেলা সার-বীজ মনিটরিং কমিটির উপদেষ্টা থাকবেন। একই সাথে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বাধীন বিক্রেতা বাছাই কমিটিতেও স্খানীয় এমপি’র মনোনীত প্রতিনিধি থাকছে। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র দাবি করেছে, নতুন নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে সারা দেশে কৃষকরা স্খানীয় বাজার থেকে তাদের চাহিদা মতো সার কিনতে পারবেন।
আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে সার বিতরণ ব্যবস্খায় জটিলতা নিরসনে খুচরা সার বিক্রেতা নিয়োগ পদ্ধতি প্রবর্তন করেছিল। পরে বিএনপি সরকার সেই পদ্ধতি বাতিল করে। নয়া নীতিমালা কার্যকরের মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকার সার বিক্রেতা নিয়োগে তাদের আগের পদ্ধতিতে ফিরে যাচ্ছে।
ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফোকাস বাংলা নিউজকে বলেন, তিনি দীর্ঘ ২০ বছর খুচরা বিক্রেতা হিসেবে সার বিক্রি করছেন। এত দিন তিনি বিসিআইসি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত এক ডিলারের অধীনে সাব-ডিলার ছিলেন। নতুন পদ্ধতিতে সার বিতরণের নীতিমালায় তার সাব-ডিলারশিপ বাতিল হয়ে যায়। সম্প্রতি কৃষি অধিদফতরের নিয়ম মেনে তিনি খুচরা বিক্রেতা হিসেবে নিয়োগের জন্য আবেদন করেন। পুরনো ও অভিজ্ঞ ব্যবসায়ী হয়ে আবেদন করেও তিনি খুচরা বিক্রেতা হিসেবে নিয়োগ পাননি। সেখানে আওয়ামী লীগের পৌরসভার এক নেতাকে খুচরা বিক্রেতা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। দত্তের বাজার ইউনিয়নের এক পুরনো ব্যবসায়ী জানান, তিনি প্রত্যেক বছর কৃষি অধিদফতরের শর্ত মেনে ১৫ বছর ধরে সার বিক্রি করছেন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত ব্যবসায়ী হওয়ায় বিগত জোট সরকারের সময় তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়েছে। ক্রয়মূল্যের চেয়ে প্যাকেটপ্রতি ৫০ টাকা লোকসান দিয়েও তাকে সার বিক্রি করতে হয়েছে। তবুও তিনি ব্যবসা বìধ করেননি। কিন্তু মহাজোট সরকার নতুন নীতিমালা করায় এ বছর থেকে তিনি আর সার বিক্রয় করতে পারবেন না। তিনি জানান, উপজেলা কৃষি অধিদফতর থেকে খুচরা বিক্রেতা নিয়োগ পেতে আবেদন করার জন্য তাকে অবহিত করা হয়নি। সরকারদলীয় দুইজন নেতা যারা কখনোই ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন না, এমন ব্যক্তিকে স্খানীয় সংসদ সদস্য খুচরা বিক্রেতা হিসেবে নিয়োগ দিতে সুপারিশ করেন। বগুড়ার গাবতলী উপজেলার এক ব্যবসায়ী জানান, জেলা কৃষি অধিদফতর থেকে নিয়োগের সুপারিশ করা হলেও তিনি সরকার সমর্থিত ব্যবসায়ী না হওয়ায় তাকে খুচরা বিক্রেতা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়নি। সারা দেশে খুচরা বিক্রেতা নিয়োগে একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে ব্যবসায়ীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
রাজশাহীর বাঘমারা উপজেলার কৃষক ফরিদ উদ্দিন বলেন, সার বিক্রয়ে খুচরা বিক্রেতা নিয়োগে সরকারদলীয় নেতাদের যেভাবে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে তাতে সার নিয়ে নতুন করে কেলেঙ্কারির আশঙ্কা রয়েছে। তিনি বলেন, খুচরা বিক্রেতারা দলীয় লোকদের অগ্রাধিকার দিয়ে সার বিক্রি করবে। বিরোধী দলের সমর্থন করেন এমন কৃষকদের মাঝে সার বিক্রয় করা হবে না। ফলে সারের অভাবে ফসল উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হবে। তাতে দেশের কৃষিতে বড় ধরনের ধস নেমে আসবে। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের সিরাজপুর ইউপি’র কৃষক হাফিজ উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন এলাকায় সার বিক্রি করছেন এমন ব্যবসায়ীরা খুচরা বিক্রেতা হিসেবে নিয়োগ পাননি। ইউনিয়নের সরকারি দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিক্রয়প্রতিনিধি নিয়োগ পেয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ জনতার কাছ থেকে প্রতারণা করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ ধরনের ব্যক্তিরা সার বিক্রেতা নিয়োগ পাওয়ায় কৃষকদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।
সার ও বীজ মনিটরিং বিভাগের মহাপরিচালক এ ব্যাপারে জানান, সরকার সহজ উপায়ে কৃষকদের মাঝে সার পৌঁছে দিতেই আগের ডিলারদের বহাল রেখে ইউনিয়নভিত্তিক সাতজন খুচরা প্রতিনিধি নিয়োগ দিয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যানদের দেয়া তালিকা যাচাই-বাছাই করে উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রকৃত ব্যবসায়ীদেরই নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এতে দলীয় বা বিশেষ কোনো পদ্ধতিকে প্রাধান্য দেয়া হয়নি।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহীতে আওয়ামী লীগপন্থী নতুন ৬০২ জন খুচরা সার ডিলার নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে।
নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত এই ডিলারদের মাধ্যমে এ সার দেয়া হবে বলে জানা গেছে। নিয়োগপ্রাপ্ত ডিলার ছাড়া অন্য কেউ সার বিক্রি করতে পারবে না। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে নতুন নীতিমালা অনুযায়ী কৃষকদের মাঝে সার বিতরণ কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নতুন নীতিমালায় রাজশাহী জেলায় নতুন করে ৬০২ জন খুচরা সার ডিলার নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়। জেলায় ৮৯ জন বিসিআইসি ডিলারের অধীনে এই খুচরা ডিলাররা কৃষকদের কাছে সার বিক্রি করবেন। অভিযোগ উঠেছে, ডিলার নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক দলীয়করণ করা হয়েছে। সেই সাথে বিপুল অর্থের লেনদেন হচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্য মতে, জেলার নয় উপজেলায় চলতি মাসে কৃষক পর্যায়ে সার বিতরণের জন্য ডিলার বা বিক্রয়প্রতিনিধি নিয়োগের আহ্বান করা হলে প্রায় ২০ হাজার আবেদন জমা পড়ে। এসব আবেদনকারীদের মধ্য থেকে নিয়োগ কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ের পর ৬০২ জনকে খুচরা ডিলার হিসেবে নিয়োগ দানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে এতে শুধু আওয়ামীপন্থীরাই সুযোগ পান। এসব ক্ষুদ্র ডিলার তথা বিক্রয়প্রতিনিধির কাছ থেকে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা নেয়া হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজশ করে এমপি’র মনোনীত আওয়ামী লীগ নেতারা এ ধরনের অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে বিস্তর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সূত্র মতে, চলতি মাসের মধ্যেই এ নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করবে কৃষি বিভাগ। এরপরই নতুন ডিলারের মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে সার বিতরণ করা হবে। এ জন্য জেলার প্রত্যেক ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রতিটিতে সাতজন করে খুচরা ডিলার নিয়োগ করছে কৃষি বিভাগ।
রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ আলমগীর জানান, উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় সাতজন করে মোট ১২৬ জন ডিলার নিয়োগ করা হবে। তবে এর অনুকূলে আবেদন জমা হয়েছে ৩৯৭টি। জমাকৃত আবেদনগুলো সংশ্লিষ্ট ইউপি ও পৌর কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কমিটির যাচাইকৃত আবেদনগুলোই উপজেলা কমিটি চূড়ান্তভাবে নিয়োগ করবে। একইভাবে জেলার নয় উপজেলায় ২০৬ জন খুচরা ডিলার নিয়োগ-প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় সার বিক্রি শুরু হলে কৃষকরা সঠিক দামে ও সহজে সার পাবেন বলে আশা করছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা।
নতুন নীতিমালায় জেলা প্রশাসনের সহায়তায় বিসিআইসি’র মাধ্যমে জেলাওয়ারি গুদাম স্খাপন করা, গুদাম থেকে সার সরবরাহের ব্যবস্খা নিশ্চিতসহ বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলার সব সংসদ সদস্য সার বিক্রেতা বাছাই কমিটি এবং উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির উপদেষ্টা থাকবেন। একই সাথে জেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটিতে জেলার সব উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তা ও সীমান্তবর্তী জেলা-উপজেলার বিডিআর প্রতিনিধিকে কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক জেলা পর্যায়ের কমিটিতে সভাপতি থাকবেন।
গতকাল রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শেফাউল দাবি করেন, অনিয়ম হলে ইউনিয়ন পর্যায়ে হতে পারে। জেলা পর্যায়ে এ ধরনের অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই।