বাংগালী জাতী কখনো উন্নতি করবে এ কথা বিশ্বাস করতে মন সায় দেয়না।যে জাতি তাদের স্বাধীনতার ঘোষক ক? ৩৭ বছরেও নির্ধারন করতে পারেনি,তাদের উন্নতি কল্পনা করা যায় কি?অথবা প্রকৃত ঘোষক কে সবাই জানলেও ইচ্ছা করেই একজনের কৃতত্বকে চাপা দিতে অন্যজনে তা অস্বীকার করছে।আবার প্রকৃত তারিখ কোনটি সে নিয়েও বিতর্ক বিদ্যমান। তারিখটা ২৬ ছিল নাকি ২৭ ছিল তা আজও এ জাতী জানেনা।জানেনা এ কথা ঠিক নয়, আসলে সবাই তাদের মনগড়া ইতিহাস রচনা করতে ব্যস্ত বিধায় যে যার মত করে তারিখটিকে বিকৃত করে যাচ্ছে। আওয়ামী পন্থীরা দাবী করে শেখ মুজিব ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষনা করে।তার বরাদ দিয়ে ২৭শে মার্চ চট্টগ্রাম কালুরঘাট অস্থায়ী বেতার কেন্দ্র হতে আওয়ামী নেতা আবদুল মান্নান আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বাধীনতার ঘোষনা দেয়। আবার বি এন পি পন্থীরা দাবী করে,জিয়াউর রহমান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র হতে ২৬ তারিখ স্বতস্ফুর্তভাবে কারো অনুপ্রানিত না হয়ে স্বাধীনতার ঘোষনা দেয়। এ দুটি মতের কোনটি সত্য? বাংগালী জাতীর সবাই জানে ২৫ তারিখ রাত্রে বারোটার আগে শেখ মুজিব পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে বন্দী হয়।
সেখ মুজিবকে বন্দী করতে তাদের একটুও কষ্ট হয়নি,পুর্ব পাকিস্তানের বিদ্রোহী নেতা পালাতে চেষ্টা করেনি।নিজ ঘরে বসে থেকে আত্বসমর্পন করে পাকিস্তানিবাহিনীর হাতে।আওয়ামীদের বক্তব্য যে, শেখ মুজিব বন্দী হওয়ার আগে স্বাধীনতার ঘোষনার বক্তব্য লেখে যায়,এবং ঘোষনার নির্দেশ দিয়ে যায়,সেই নির্দেশ মতে আবদুল হান্নান চট্টগ্রাম এ স্বাধীনতার ঘোষনা দেয়।বক্তব্যটা কতটুকু যৌক্তিক হতে পারে সেটা ভাবার প্রয়োজনীয়তা আছে। ২৫ তারিখে বন্ধী একজন লোক স্বাধীনতার ঘোষনা লিখে বারোটার মধ্যে চট্টগ্রাম পাঠিয়ে দিল?যুক্তির কষ্টি পাথরে এটা অত্যন্ত হাস্যকর নয় কি?একটা স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র বন্ধীর হাত হতে পাচার হয়ে চুড়ান্ত রুপ পেতে যাচ্ছে আর পাকিস্তানী বাহীনি তাতে কিছুই বলেনি,বরং সহযোগীতা করছে এটা কল্পনা করা যায়না।ধরে নিলাম পাকিস্তানি বাহিনি কখন হামলা করবে,কখন স্বাধীনতা ঘোষনা করতে হবে তার দিনক্ষন না জেনেও মুজিব সাহেব একটা ঘোষনাপত্র আগে থেকে লিখে রেখেছেন,পাঠিয়ে দেননি,তৎকালীন বাংলাদেশের যোগাযগের যে বেহাল অবস্থা ছিল তা কিছুতেই ২৫ তারিখে রাত বারোটার মধ্যে জিয়াউর রহমানের হাতে পৌঁছানো সম্ভব নয়।আর আগে থেকে পাঠিয়ে দিয়ে থাকে তাহলে এই পত্র কখনো জিয়ার হাতে যাওয়ার কথা নয় বরং তা কোন রাজনৈতিল নেতার হাতে যাওয়ার কথা।আওয়ামীরা বলে থাকে আবদুল হান্নান ২৭ তারিখে স্বাধীনতা ঘোষনা করেছেন,এ কথা সার্বজনীন ভাবে মিথ্যা ও বিকৃত,কেননা মুজিবের জীবদ্দশায় কখনো ২৭ তারিখে এ দিবস পালন করেননি।
১৯৭২ হতে ১৯৭৫ এর চারটি স্বাধীনতা দিবস মুজিবুর রহমান উদযাপন করেছেন,তার কোন বক্তৃতায় পাওয়া যাবেনা যে তিনি ঘোষনাপত্র লিখে আবদুল হাননানকে পাঠিয়েছেন এবং সেমতে হান্নান সাহেব পাঠ করেছেন।অবশ্যই নিজের কৃতীত্ব নষ্ট হওয়ার ভয়ে জিয়ার কথাও তিনি বলেননি।শেখ মুজিবুর রহমান বলেন আর নাই বলেন,এদেশের মানূষ যারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জিবন বাজি রেখে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন তারা সেদিন কার ঘোষনা শুনেছেন?তারা শুনেছেন জিয়াউর রহমানের কন্ঠে স্বাধীনতার ঘোষনা।শেখ মুজিবুর রহমান কোন ঘোষনাপত্র পাঠান নাই এবং নির্দেশ ও দেন নাই,দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জিয়া পাকিস্তানের বিরুদ্ধ বিদ্রোহ করে স্বাধীনতা ঘোষনা দিয়েছেন।
তাঁর ঘোষনায় তিনি মুজিবের পক্ষ হতে কথাটি উল্লেখ করেছেন এ জন্য যে মুজিব তিনি বাংলার তৎকালীন নেতা হিসাবে সম্মানিত করতে চেয়েছেন মাত্র। বর্তমান ইতিহাস বিকৃতির দুঃসময়ে সেদিনকার বক্তব্যে জিয়ার সব চেয়ে বড় ভূল ছিল মুজিবের পক্ষ শব্দটি ব্যবহার করা.
Friday, 3 April 2009
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
তিনি যদি স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল নায়ক হবেন তা হলে ৭২ সালের ১০ জানুয়ারী বিমান বন্দরে শেখ সাহেবকে সেলুট দিলেন কেন? নিজে রাষ্ট্র প্রধান হলেন না কেন? বলবেন কি?
ReplyDeleteঅন্ধকার থেকে বেরিয়ে আলোয় আসুন।